By - রাহেলা আক্তার

আমাদের সময় বাবা মায়ের উপরে যেয়ে প্রেম করা সম্ভব ছিলোনা একটি গ্রামের মেয়ে হিসেবে,তাও আবার স্কুলে পড়ুয়া।১৯৯২ সালে ৮ জানুয়ারী আমার খালু মাধ্যমে তার এক আত্মীয়রা আমাকে দেখতে আসে এবং তাদের আমাকে পছন্দ হয়ে যায়।আর তারা সেদিনি আমাকে বিয়ে করিয়ে ঢাকা নিয়ে আসবে যেহুতু তারা আমার খালুর আত্মীয় তাই আমার বাবা মাও রাজি হয়ে যায় আর সেদিনি আমার বিয়ে সম্পুর্ণ হয়।শুরু হয় আমার নতুন মানুষের সাথে পথ চলা,তারা ছিলো ১০ ভাইবোন।তাদের মধ্যে আমার স্বামী ছিলো ৪ নম্বর এবং আমি ছিলাম মেঝো বউ,বড় ২বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছিল আর বড় ভাসুর বউ নিয়ে আলাদা থাকতো।আর ননদ দেবরা ছিলো ছোট ছোট তাই সংসারের দায়িত্বটা ছিলো আমার উপর,কাজ শেষে সময় পেলেই বাবা মা ভাই বোনদের জন্য কান্নাকাটি করতাম।আমার স্বামী রাতে বাড়ি ফিরে এসে যখন দেখতো আমার মনটা খারাপ তখন আমার সাথে হাসির হাসির গল্প করতো আর মন ভালো হলে রাতে আমাকে নিয়ে হাটতে বের হতো।আবার শুক্রবার ছিলো আমার কাছে ঈদের দিনের মত কারণ শুক্রবার আমার স্বামী আমাকে নিয়ে সিনেমা দেখতে যেতো আর সেদিন খাবারটা বাহিরেই করতাম তাও আবার আমার পছন্দের।আস্তে আস্ত মানুষটার সাথে এমন বাধনে বাঁধলাম যেনো তাকে ছাড়া আমি অপূর্ণ,আমাদের সংসার বড় হলো আমাদের ঘর আলো করে ৩টি সন্তান আসলো।সংসার জীবনের কখন যে রাগ-অভিমান,সুখ-দুঃখ নিয়ে ৩০ টি বছর কেটে গেলো টেরই পাইনি আলহামদুলিল্লাহ।অনেক টানা পীড়নের মাঝেও কেউ কারো হাত ছাড়িনি,আজ আমরা নানা-নানী হয়েছি তবু ভালোবাসার কোন কমতি নেই আমাদের মাঝে এখনো সময় পেলে দুজনে চুপটি করে বাহিরে ঘুরতে যাই।হয়তো আমাদের অনেক অর্থ নেই তেমন উচ্চ চাহিদাও নেই,অনেক ভালো আছি কারণ আমাদের ভালোবাসা রয়েছে।এভাবে দুজন হাতে হাত রেখে পাশে থাকতে চাই যতদিন বেঁচে আছি।