By - MD Fahad Hossain Fahim

গল্পের শিরোনামঃ " নন্দিত পাখি " - এই শুনো না! - কি? - থাক বলবো না। - কি হয়েছে বলো? - ইচ্ছে করছে..... - কি ইচ্ছে করছে? - ইচ্ছে করছে তোমার বুকে মাথা দিয়ে হাঁটি। - বুকে মাথা রেখে কি হাঁটা যায়? - আমি জানি না। আমি হাঁটব। তোমার বুকে মাথা রেখেই হাঁটব। - আচ্ছা, ঠিক আছে। এই বুকটা তো তোমারই। - সত্যি? - হ্যাঁ, সত্যি। - কতটুকু সত্যি? - সত্যি তো সত্যিই। এক সত্যি, দুই সত্যি, তিন সত্যি, একশো বার সত্যি। এবার খুশি! - অনেকটা। খুশি। -দেখো শ্রাবণী, চন্দ্রিমা কি অপরূপা! কি সুন্দরী! সোনালী রঙের মসলিন শাড়িতে কি সুন্দর লাগছে ওকে! - এই চন্দ্রিমা কে? কোথায় চন্দ্রিমা। আমি কাউকেই তো দেখছিনা। - চন্দ্রিমা আমার বুকে। - একটু আগে না বললে, এই বুকটা আমার। এখন মিথ্যে বলছো কেনো? - মিথ্যে বলবো কেনো? - এই দেখো আমার বুকে চন্দ্রিমা। - কোথায়? দেখি। ওকে আজকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়বো। - কেউই তো নেই তোমার বুকে। - চন্দ্রিমা তো চাঁদের আলো। মিষ্টি চাঁদের আলো এসে পড়ছে আমার বুকে। তবে তুমি কিন্তু আছ সবসময় আমার অনুভবে।চাঁদের কিরণের চেয়েও বেশি অপরূপা তুমি। তুমিই তো আছো আমার প্রতিটি নিঃশ্বাসে। - তাহলে এতো ঢং করার কি দরকার ছিলো। আমার চোখের জল ঝরানো ছাড়া কি তোমার শান্তি হয় না! - পাগলী টা কাঁদছে কোনো! এতো ছোট একটা বিষয়ের জন্য কি কাঁদতে হয়? - হ্যাঁ, আমি কাঁদব এখন। হাউমাউ করে কাঁদব। - এই কাদতে হবে না প্লিজ। একটা জিনিস দেখবে? -কি? - দেখো দুটো পাখির ছায়া। - ওপরে চেয়ে দেখো পাশের ছাদের ওপর দুটো পাখি। - কি ভালবাসা পাখিদের মধ্যে, তাই না? - হ্যাঁ, পাখি দুটো কত কাছাকাছি বসে আছে। মনে হচ্ছে সাত জনমের বাঁধনে বেঁধে আছে ওরা এক সুতোয়। - ওদের সময়টা কতটা আবেগঘন। - আস্তে কথা বলো না হয় পাখি দুটো উড়ে যাবে। - আচ্ছা। ঠিক আছে। ও আমার বুকে মাথা দিয়ে মুচকি হাসছে। আমাদেরকে দেখে পাখি দুটোও মিটমিট করে হাসছে। আমাদের মতো পাখি দুটো ও নন্দিত। নন্দিত পাখি ওরা। তোরা বেঁচে থাক আজীবন, এভাবেই। আর আমি ও ওকে কাছে পেয়ে বেঁচে থাকি আজীবন।