আমাদের কাহিনী.... ২০১৯ এ আমাদের ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়।কথা হত ইংলিশে কারণ কেউ কারো ভাষা জানিনা।এখনো ইংলিশে কথা হয় ( আমি চাইনিজ শিখেছি কিছুটা,সে বাংলা শিখেছে কিছুটা). ২০২১ এ মে মাসে সে বাংলাদেশে আসে আমার সাথে দেখা করার জন্য।প্রথম দেখা হয় আর দ্বিতীয় দেখা বিয়ের দিন। সে মুসলিম হয়েছে তারপর বিয়ে।বিয়ের দুই দিন পর মুসলমানি হয়েছেন। আমার কাছে মনে হয় এই যে খ্রিস্টান থেকে মুসলিম হওয়া, আমার জন্য বাংলাদেশে এসে তার দাদুকে হারানো ( মারা গিয়েছেন বাংলাদেশে আসার পর উনার দাদু উনি দেখতেও পারেননি), সার্কামসেশন করানো সব কিছুই স্বপ্নের মত।এত ভালবাসা সত্যি আমার ভাগ্যে ছিল।শুকরিয়া আল্লাহর কাছে। প্রথম থেকেই তার মা বাবা রাজি ছিলেন।উনিও বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান,আমিও।জিজ্ঞেস করেছিলাম কোন সমস্যা আছে কিনা তাদের, তাছাড়া মুসলিম হবে। বলেছে কোন সমস্যা নেই তাদের।তাদের ছেলের মতামত তাদের মতামত।তারা খুবই ভাল,আমাকে খুবই ভালবাসেন।রিলেশনের শুরুর থেকেই মা, বাবা,দাদুর সাথে কথা হত প্রতিদিন।সে বাংলাদেশে আসার পর দাদু মারা যায় খুবই কষ্ট পেয়েছিলাম দুজনেই।মিষ্টি ছিলেন ভীষণ। আমার ফ্যামিলি তে বাবা, নানু এখনো মেনে নেয়নি।যদিও ফ্যামিলির সম্মতি নিয়েই বিয়ে করেছি।আম্মুকে রাজি করেছি,কান্নাকাটি করে,ডিরেক্টলি বলে দিয়েছি ওরে না পেলে মারা যাবো।আর আগেই নানি,মামি,মামা,আন্টি এদের রাজি করিয়েছিলাম।যেহেতু পরিবারের একমাত্র মেয়ে বিষয়টা খুবই কঠিন ছিল আমার জন্য তারপর আবার চাইনিজ,অমুসলিম। আম্মু এখন মেনে নিয়েছে।আব্বু এখনো মেনে নেয়নি।আশা করি মেনে নিবে।অক্টোবরে ৪ তারিখ আমরা এক হই। এরমধ্যে ও মানুষের খারাপ মন্তব্য তো আছেই।এসবে আমি কানে দেইনা। যাইহোক ভালবাসা আর বিশ্বাস ছিল দুজন দুজনের প্রতি তাই সম্ভব হয়েছে।সবাই দোয়া করবেন আমাদের জন্য। আর একটি প্রমাণ আমি পেয়েছি আপনি যদি মন থেকে কিছু চান আল্লাহ আপনাকে সেটি যেভাবেই হোক পাইয়ে দিবে।আমি পেয়ে গেছি অনেক ঝড়ের পর।বিয়ের দিন ও অনেক ঝামেলার পরে পেয়েছি।কিন্তু দুজনে দুজনের হাত শক্ত করে ধরেছিলাম বলে সম্ভব হয়েছে সবটা।সবটা শুকরিয়া,কৃতজ্ঞতা মহান আল্লাহর কাছে।মন থেকে চেয়েছিলাম বলে আল্লাহ দিয়েছেন। এডিটঃ বিয়ের দুদিন পরে তাকে আমি বলিনি সার্কামসেশন এর কথা, সে নিজে গিয়ে হসপিটালে ভর্তি হয়েছে।সে কথা দিয়ে কথা রেখেছে।বিয়ে হয়ে গেছে, সে এটা না করলে পারতো।কিন্তু করেছে। তার মনে ছিল,সে আমাকে কথা দিয়েছে।হুজুর বলেছিলো না করলেও সমস্যা নেই।তবুও সে করেছে কারণ সে আমাকে ভালবেসেছে।তাকে আমি বিশ্বাস করেছি,সে মর্যাদা রেখেছে। বিশ্বাস করুন,শুদ্ধতম ভালবাসুন।