By - Afsa F. Wahid

(আমি ও সে) সালটা ২০০৬, অনার্স প্রথম বর্ষের ক্লাস খুব জোরেশোরেই চলছে। নতুন ক্যাম্পাস, নতুন শিক্ষক সঙ্গে কিছু নতুন বন্ধু বান্ধব। কটেজের বাঁধাধরা নিয়ম পেরিয়ে ভার্সিটি লাইফ, এ যেন এক নতুন জীবন। বরাবরের মতই প্রতি ক্লাসে আমি সামনের দিকে বসতাম। স্কুল জীবন থেকে আমার ধারণা ছিল মেধাবী এবং মনোযোগী ছাত্র ছাত্রীরা সামনের বেঞ্চে বসে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল, যে ছেলেটা আমার মনযোগ আকর্ষণ করে বসলো সে সর্বদা পেছনের বেঞ্চে বসে। শুধু আমার না, আমার ধারণা অনেকেই ওকে আলাদা করে মনে রেখেছে। পেছনে বসলেও ওর মত বুদ্ধিদীপ্ত ও মেধাবী মানুষ খুব কম দেখেছি। রেজাল্ট এর দিক থেকে আমাদের মোটামুটি সবার চাইতে ও ভাল করত। সুদর্শন হলেও দূর থেকে দেখলে ওকে বেশ রাগী মনে হত। আমি প্রথম প্রথম ওকে বেশ ভয়ই পেতাম। যদিও, ক্লাসের মাঝে সুযোগ পেলেই বুদ্ধিদীপ্ত টিপ্পনী কাটত। অনেক সময় নিজের অজান্তেই হো হো করে হেসে ফেলতাম। লেখাপড়া, ক্যাম্পাসের আড্ডা ও নোট আদান প্রদানের সুবাদে আমরা সহজেই খুব ভাল বন্ধুতে পরিণত হ‌ই। তারপর, একপর্যায়ে মন বিনিময় এবং এখন জীবন সঙ্গি। প্রত্যেকেই নিজেদের জীবন সঙ্গীর মাঝে একজন বন্ধু খোঁজে।কিন্তু আমি, আমার সবচাইতে ভালো বন্ধুকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েছি। বিয়ের পর প্রায় সাত বছর পার করে এখন আমরা অষ্টম বছরে পা দিয়েছি। কয়েক বছর আগে আমাদের কোল আলো করে পরিবারের নতুন সদস্য যোগ হয়েছে। একমাত্র রাজকন্যা নিয়ে ভালোই চলছে আমাদের টোনাটুনির সংসার।