প্রথম দেখা আমার বড় ভাইয়ের বিয়েতে, সেদিন কাউকে এতো ভালো লেগেছিলো গায়ে হলুদের দিন তার সাথে আমার প্রথম কথা হয়, সে শুধু হাস ছিলো আমার কথা শুনে, তার শুধু একটা কথা ছিলো কেমন আছেন আপনি.. সে কথা যে মনে হইছিলো আপন কেউ বলছে, তারপর গায়ে হলুদে টসে করে নাচ হয় যার সাথে যার নাম উঠবে তাকে তার সাথে নাচতে হবে । আমার নাম উঠে মিমের নামের সাথে, সে লজ্জায় আমার দিকে তাকাচ্চিলো ও না, তারপর সব নাচ গান করে বাসায় চলে আসি , পরেরদিন বিয়ে ভাইয়ের সাথে রওনা দেয় তাদের বাড়ি দিকে হঠাৎ মনে হইছিলো মালা কিনি নাই, পরে আমি মালা কিনতে দোকানে যাই গিয়ে দেখি মিম দাড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছে সে পার্লারে গিয়েছিলো, তখন আমি ডাক দেয় মিম এখানে কি সে বলে গাড়ির জন্য । পরে আমাকে জিজ্ঞেস করে এখানে কেনো আমি বলি মালা কিনার জন্য , মিম বলো মালা কিনার জন্য না নাকি আমচুর পিছু পিছু চলে আসছেন। আমি বলি আপনি হইতো কোরো কালে জোতিষ্যী ছিলেন। সে অনেক হাসে , আমি আবার তার প্রেমে পড়ে যায়। তখন বলি সাজের মধ্যে একটা জিনিস মিস করছেন। তখন সে বলে কি আমি বলি চুলে ফুল। তখন আমি গিয়ে ওর চুলে একটা গোলাপ বেদে দেয়। তারপর একসাথে বাইকে করে বাসায় যায়। সবাই আমাদের দেখে অবাক। সবাই বলে উঠে কিরে তোরা একসাথে লজ্জায় মরে যাবার মতো। তারপর সব বলি, বিয়ে শেষ ও ছিলো ভাবির মামাতো বোন ওর নাম্বার ঠিকানা, কিছুই জানা হলো না,, কয়েকদিন ওর সাথে দেখা হলো না মনে হচ্ছিলো তাকে হারিয়ে ফেললাম.. ভাবির কাছেও জানতে চাইনি মিমের বিষয় কিছু,, হঠাৎ একদিন আমি যেই কলেজে পড়ি সে ওই কলেজে ভর্তী হয়, এইদিন টা যেনো আমার কাছে অনেক প্রিয় একটা দিন ছিলো। একি ক্লাসে পড়তাম। ওর বাবার চাকরির জন্য আমাদের এলাকায় আসেন। পরে কলেজ ছুটি হলে ওর পিছু পিছু কথা বলে যেতাম। তার সাথে বন্ধুত্ব হয়ে যায়, প্রতিদি বিকেলে ওর বাড়ির সামনে দাড়িয়ে থাকতাম ওকে একটা নজর দেখার জন্য। কিন্তু দেখা হতো না। একদিন আমি সাহস করে ওদের বাড়ির ভিতরে ডোকে যায় । কিন্তু তার দেখা পায়নি তার বাবা হসপিটালে ভর্তী ছিলো তাই ওনারা সবাই হসপিটালে ছিলেন.. মিমের কম বয়স ছিলো বলে মোবাইল ছিলো না,, আমি ওই হসপিটালে যাই গিয়ে দেখি মিমের কোমল মুখটা কালো হয়ে আছে। তার বাবার ১ ব্যাগ রক্ত লাগবে কিন্তু গ্রুপ ম্যাচ হচ্ছে না কারো সাথে। রক্ত না হলে অপারেশন হবে না৷ পরে আমি ডাক্তারের কাছে গিয়ে রক্তের গ্রুপ জেনে নেই পরে দেখি আমার সাথে মিলে গেছে। আমি রক্ত দিয়ে আসি কিন্তু মিমের সাথে দেখা করিনি । পরে কয়েকদিন পর কলেজে সবার সামনে মিমকে ভালোবাসি কথাটি বলে ফেলি। সে কোরো উত্তর না দিয়ে চলে যায় যাবার সময় শুধু বলে যায় আমার উত্তর টা ওইদিন আমাকে যে এ্যাসাইমেন্ট খাতা দিয়েছিলে ওইটাতে আছে। পরে দৌড়ে কলেজের অফিসে চলে যায়। কারন ওইদিন আমি খাতা জমা দিয়ে আসি৷ গিয়ে দেখি স্যারের কাচে খাতা অনেক অনুরোধ করে খাতাটা ফিরিয়ে আনি। খাতায় লেখা ছিলো তোমাকে আমি অনেক ভালোবসি বলতে পারিনী ভয়ে কারন যদি আপুর সংসারে সমস্যা হয়। তারপর আমাদের ভালোবাসা অনেকদিন গড়াই। একদিন ওর বাবা আমাদের একসাথে দেখে ওকে অনেক মারধর করে.. আমার বাসায় কল দিয়ে সব বলে.. কলেজে আসা বন্দ করে দেয়। কারন আমাদের বয়স কমে আর আমি মধ্যবিত্ত তার উপর বেকার। তারপর বিয়ে একদিন পালিয়ে আসে আমার কাছে ওকে আমি বিয়ে করে ফেলি। নামার পরিবার মেনে নিয়েছিলো কিন্তু হঠাৎ একদিন মিমের বাবা মা আমাদের নিতে আসেন তাদের বাড়িতে। পরে মিম কে আটকে রেখে আমাকে অনেক মারধর করে। আমি হসপিটালে ভর্তি হয়। পরে সে বাসা থেকে আবার পালিয়ে আসে আমার কাছে। তার বাবা ব্যর্থ হয় আমাদের ভালোবাসার কাছে। পরে হসপিটালের আমাকে দেখতে আসেন। তখন আমি ওইদিন যেই ডাক্তারে কাচে রক্ত দিয়েছিলাম, ওই ডাক্তার মিমের বাবাকে বলেন স্যার যার রক্তে আল্লাহ আপনার জীবন ফিরিয়ে দিয়েছেন আজ তার জীবন আপনি কেরে নিচ্ছেন। পরে মিমের বাবা ভুল বুঝে ক্ষমা চান। আমাদের ভালোবাসার জয় হয় কিন্তু এখনো আমরা আলাদা থাকি। মিম ওর বাসা থেকে লেখা পড়া করছে আর আমি একটা জব করছি। যখন আমরা বিয়ে করি তখন আমার বয়স ১৭+ আর মিমের ১৫ ছিলো তাই দুপরিবার বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আবার আমাদের বিয়ে দিবে। যখন আমাদের বিয়ের যোগ্য বয়স হবে মিমের সাথে দেখা হয়। ২০২৩ সালের জানুয়ারি ১৫ তারিখ আমাদের বিয়ে এটা কোনো নাটক সিনেমার গল্প না এটা আমার জীবনের বাস্তব ঘটনা