By - Md Mostak

ভালো লাগার শুরুটা স্কুল জীবনে, ধীরে ধীরে তার প্রতি হৃদয়ে তৈরী হয় দূর্বলতা। সপ্তাহে একদিন'শুক্রবার' স্কুল বন্ধ, মনে হত সময় যেন ফুরায় না। আমি একটু লাজুক প্রকৃতির হওয়ায় কোন ভাবেই তার সামনে দাড়িয়ে বলতে পারি নি " খুব বেশি ভালোবাসি প্রীয়া"। বিদায় অনুষ্ঠানের দিন মনস্থীর করি যে, যা হয় হবে আজ ওর সামনে দাড়াব 'প্রাণ খুলে বলব অব্যক্ত সব কথা', বলব বলব করে অনুষ্ঠান শেষ হলো, শেষ সময় স্যারদের সাথে ফটোসেশন চলছে, একসাথে ছবি তুলতে দাড়ালাম তখন বুক ধুক ধুক করছে সাহসের ভারে, তখনও বলা হলো না, ওর চাহুনী আর আচরন আমাকে আরো ব্যাকুল করে তোলে, সম্ভবত সেও কিছু শোনার জন্য ব্যাকুল। যখন সব আয়োজন শেষ তখন ছোট্ট একটা চীরকুট লিখি, যাতে লেখা ছিলো "বিদায়ের ক্ষণে হৃদয়ের শূণ্যতা পূরণে তোমাকে চাই, অল্প অল্প করে সাঁজাতে চাই আমাদের গল্প, খুব বেশি ভালোবাসি তোমায় প্রীয়া"। পরবর্তী "তিন মাস" অপেক্ষা অ-সহ্য যন্ত্রণা, অপেক্ষা একাকীত্ব, অপেক্ষা হৃদয়ে ভর করা মেঘ, অবশেষে হঠাৎ এক বিকেলে মেসেজ আসলো " সন্ধ্যায় বাসায় এস " কথা আছে " মূহুর্তেই বিমর্ষ-ধূসর চারপাশ ভালো লাগায় ভরে উঠলো "অল্প অল্প করে শুরু হলো আমাদের ভালোবাসার গল্প" তোমার~আমার গল্প , ""অল্প"" , ত‌বে ফুরা‌বে না জীব‌নে ~~ অল্প অল্প গ‌ল্পে প‌রিপূর্ণ রূ‌পে সাঁজুক জীবন, ভালোবাসা থাকুক হৃদ‌য়ে , বিশ্বাস অটুট থাকুক ম‌নে ~~~~ আরো বেশি রঙ্গীন হোক ""‌তোমার আমার"" অল্প গ‌ল্পময় জীবন । 'ভালো থেকো"""ভালো রেখো' "তুমি আমার অস্তীত্বে মিশে আছ" আ-মৃত্যু একসাথে ভালো থাকতে চাই 'এটাই ভিশন'