জীবনটা একটা মায়ার বৃত্তে আবদ্ধ। মায়া হটাৎ জন্ম নেয়, মনের গহীন শেষ সীমান্তরেখা থেকে, যা মায়াকে ব্যাসার্ধ করে অনুভূতি গুলো তীব্র জমাট বেধে ভালবাসায় পরিনত হয়। একসময়কার যাকে ছাড়া কিছু ভাবাই অন্ধকার রাতে হাটার মত ছিল, যাকে নিয়ে সাত রংঢং নিয়ে অনুভূতি গুলো ভূমিকম্পেরর মত কম্পিত হত, সেই মানুষটার সাথে দুইদিন কথা না বলে দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ার পরে মনের গহীন থেকে তার জন্য ভাললাগার অনুভূতি গুলো যখন কমে যায় সমুদ্রেরর ভাটার মত তা অন্তত ভালবাসা হয় না, হয় মায়া, মায়া কাটানো যায়, যখন দুরত্ব সৃষ্টি হয়। একটা মেয়ের সাথে প্রতিনিয়ত কথা বলতাম, তার সাথে প্রতিটা মুহূর্ত শেয়ার করতাম, দিনে দিনে তা আরো বৃদ্ধি পেতে থাকে, ইভেন আমরা সারা রাত ইনবক্সে ভালবাসার বাশি বাজায়তাম, বাঁশির সুর গুলো মনের ভিতরে এক ধরনের মায়ার জন্মদেয়, এক পর্যায় বন্ধুত্বের গন্ডি পেরিয়ে ভালবাসার দিকে ধাবিত হতে থাকে আমাদের সম্পর্ক। তার প্রতি আমার ভালোবাসা দিন দিন বাড়তে থাকে। কিন্তুু আমার ভিতরে যথেষ্ট সন্দেহের বাতি জ্বলতে থাকে। সেই সন্দেহ থেকে তাকে জিজ্ঞেস করা- আমাদের এটা ভালোবাসা নাকি মায়া? উত্তর ছিল ভালোবাসা, কিন্তুু আমার কেন জানি মনেই হচ্ছে না এটা তার ভালোবাসা, আমাকে বুঝাতে চেষ্টা করে এইটা ভালোবাসা, কিন্তু আমি বলি এইটায় মায়া, সেই মেনে নিতে পারে নাই, তাই দুই একদিনের দুরত্ব সৃষ্টি করলাম, তার প্রতিটা মেসেজ ইনবক্সে অবহেলায় পড়ে থাকে, তাকে যথেষ্ট ইগনোর করি। এক সপ্তাহ পর আমার প্রতি তার ভালবাসা গুলো কোথায় যেন হারিয়ে যায়, রাত জাগা পাখিটা, দিনশেষে নীড়ে ফিরে যায় এক প্রশান্তি নিয়ে, আস্তে তার স্মৃতি থেকে আমিই শব্দটা হারিয়ে যায়, হয়ত কয়েক সপ্তাহ পর তার মস্তিষ্কে নতুন ভালবাসার স্বপ্ন বাধবে। এইটায় বাস্তবতা। যদি সে সত্যিই ভালোবাসতো তাহলে কি আর এতো বড় দূরত্ব তৈরি হতে দিতো। তাই ভালবাসা এবং মায়ার মধ্যে আমি বিশাল ব্যবধান খুজে পাই। আমার কাছে ভালবাসা হচ্ছে হাজারো দুরত্বের মাঝে কাউকে মিস করা, কাউকে অনুভব করা, তার অনুপস্থিতির মাঝে জীবনের শুন্যটা খুজে পাওয়া। যার প্রতিটা কাজের মাধ্যে তৃপ্তি খুজে পাওয়া, যার জন্য আবেগ না বিবেকের প্রতিটা স্নায়ু তীব্রতর হওয়া।