আমার মা ডায়বেটিসের রোগী,তাই মা নিয়মিত বারডেম হাসপাতালে ডাক্তার দেখায়।একদিন আমি মাকে নিয়ে বারডেম হাসপাতালে যাই ডাক্তার দেখাতে,ডাক্তারের রুমে মার ডায়বেটিসের বইটি জমা দিয়ে অপেক্ষা করতে থাকি।একটু পরে খেয়াল করলাম ৪-৫টি মেয়ে অপেক্ষা করতে থাকা রোগীদের কাছে গিয়ে তাদেরকে কিছু প্রশ্ন করেতেছে আর একটি ফরমে লিখছে, আর সেই মেয়েদের একটি মেয়েকে আমার ভাল লেগে যায়।এখন কি করা যায় তা চিন্তা করতে করতে ওই মেয়েটিকে এখানে তারা কি করতে আসছে ও রোগীদেরকে তারা কি বলছে জিজ্ঞাসা করি এবং মেয়েটির প্রতি আগ্রহ দেখাই যাতে মেয়েটি বুঝতে পারে আমি তাকে কিছু বলতে চাই।কিন্তু কিভাবে বলবো সাহস পাচ্ছিলাম না কারন একদিকে মা আর অন্নদিকে হাসপাতাল ভর্তি রোগী ও মানুষ। এরি মাঝে মেয়েটি আমি যে তাকে কিছু বলতে চাই বুঝতে পারে।তাই মেয়েটি তার সাথের মেয়েদেরকে নিয়ে সেখান থেকে তাড়াতাড়ি চলে যেতে চাইছে। এখন আমি কি করি ভাবতেই মেয়েটি একটু আড়ালে দেখতে পাওয়া মাত্রই সেখানে গিয়ে আমার পকেটে থাকা দুটো ছেড়া টিকেটে লিখি আমি আরিফ, আমি তোমার নামটা জানিনা, কিন্তু আমার আপনাকে এই অল্পের দেখাতেই ভাল লেগেছে, আমি আপনাকে ভালোবাসতে চাই, তাই আপনার কাছে আমার একটাই অনুরোধ এই (০১৭******** ) নাম্বারে আপনার সময় সুযোগ মতো আমাকে ফোন দিবেন।অতঃপর মেয়েটি ছেড়া টিকেট দুটো নিয়ে চলে যায়, আর আমি মেয়েটির ফোনের অপেক্ষায় থাকি। অবশেষে ৪৪ দিন পর মেয়েটি আমাকে ফোন করে বারডেম হাসপাতালের সেই জায়গায় আসতে বলে যেখানে আমাদের প্রথম দেখা হয়। আমাদের দ্বিতীয় দেখাতে আমি ওইশীকে বলি আমি তোমাকে ভালবাসি, আর ওইশী আমাকেও বলে আমিও তোমাকে ভালবাসি, ও ওইশী হচ্ছে ওই মেয়েটির যাকে আমি প্রথম দেখাতেই ভালবেসে ছিলাম। আর ওইশীকে আমি একটা প্রশ্ন করেছিলাম যে তুমি ৪৪ দিন পরে কেন আমাকে ফোন দিলা, সে বলল আমি যে ছেড়া টিকেট দুটোতে ওকে প্রথম প্রোপজ করেছিলাম সেই টিকেট দুটোর মূল্য ছিল ২২+২২=৪৪ টাকা, তাই আমি তোমাকে ৪৪ দিন পর ফোন দিয়েছি,যদি টিকেটের মূল্য কম থাকত আমি আরো কম সময়ে ফোন দিতাম আর যদি বেশী মূল্য থাকত তাহলে তোমাকে আমার ফোন দিতে আরো বেশী সময় লাগত। আর তখন থেকে আমাদের দুজনের ভালবাসার পথ চকার শুরে।।।