By - তানভীর সিকদার

ভালোবাসার মায়াবতীকে নিয়ে ভীষণ সুন্দর কিছু ভিশন! কোনো এক শান্ত ভোরে বেরিয়ে পড়বো দু’জনে। শহরের কোলাহল ছেড়ে প্রকৃতির কোল ঘেঁষে কোনো এক নির্জন প্রান্তরে পৌঁছে যাবো। হয়তো হাত ধরে হাঁটবো কোনো এক অজানা নদীর পাড়ে। ওর পরনে থাকবে আমার দেওয়া প্রথমবারের সেই নীল শাড়িটা আর আমি নাহয় নীলের সঙ্গে মিলিয়ে পরবো পাঞ্জাবি। রোদের ঝাঁজে চোখ ঝলসে যদি যায়, বসে পড়বো বিশাল একটা অশ্বত্থের নিচে। কে জানে, ঘুমিয়েও যেতে পারি ওর কাঁধে মাথা রেখে। কিংবা দু’জনে ভিজবো শ্রাবণের ঝুম বৃষ্টিতে। ইটপাথরের চিলেকোঠায় খুঁজে নেবো বৃষ্টিভেজা পাগলামিগুলো। আমাদের সঙ্গে ভিজলো নাহয় ছাদের টবের ফুলগুলো, নতুন করে প্রাণ ফিরে পাওয়া সবুজ-ধূসর গাছগুলো। নিয়ম করে প্রতি সপ্তাহে যেকোনো একদিন রাতে হাঁটতে যাবো আমরা। নিস্তব্ধ রাতে মৃত শহরের বুকে ঘুরে বেড়াবো দু’জন। চা খাবো মোড়ের টংদোকানে। প্রতি রাতে যখন আমি অফিস শেষে ক্লান্তি নিয়ে বাসায় ফিরবো তখন লুকিয়ে নিয়ে যাবো বেলি ফুলের মালা। আমিও নাহয় রান্নাটা শিখে নেব ঠিকঠাক করে। কবিতার সংসার, উপস্থাপনা কিংবা অফিসের নানান চাপের মধ্যে ঠিকই সময় করে ওকে কল দেবো, মায়াবতীটা আমার দুপুরে ঠিকমতো খেয়েছে কি না। দু’জনের আলতো করে ছুঁয়ে যাওয়া হাত, হঠাৎ চোখে চোখ পড়লে বোবা হাসি দিয়ে সরিয়ে নেওয়া চোখ কিংবা একসঙ্গে হেঁটে যাওয়া নিশ্চুপ মুহূর্তগুলো, ভাবতেই কেমন একটা ভালো লাগা কাজ করে, তাই না? তানভীর সিকদার প্রকাশিত বইঃ ‘সেফটিপিনে গেঁথে আছে মায়াবতী সুখ’ ‘ফুল পাখিদের মতো’ ‘আমাদের জুঁইগুলো সুই দিয়ে গাঁথা’। ঠিকানাঃ গারাংগিয়া, সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম। ইমেইলঃ amotanvir@gmail.com