By - Roton

ভালবাসার প্রিয় মানুষ ভালবাসার প্রথম ধাপ সেটাই ছিল অচেনা মানুষ কে যাত্রা পথে দেখা,, আর পরিচয় । শুরু টা অনেক টাই সিনেমার গল্প মনে হয় এখনো। সবে মাত্র এইচ এস সি দিয়ে ভার্সিটি এক্সাম দিবো বলে সিলেট রওনা। কিন্তু যাওয়ার মুহুর্তেই খবর আসলো আব্বু বাইক এক্সিডেন্ট। মনে হলো হয়ত আর দুরের পথে পরিক্ষা টা দেওয়া হবে না।আম্মু বাসায় চলে যেতে বলল।কিন্তু কেনো যেনো মন সায় দিল না।পরিক্ষার জন্য অনেক উৎসাহ নিয়ে যাওয়া টা আর ফিরাতে মন চাইল না।অনেক বকা ঝকা খেয়েও বাবাকে না দেখে পরিক্ষা টাই প্রায়রিটি দিয়ে দিলাম।রাত হয়ে আসছে একটু পর ট্রেন ছাড়বে। আম্মু আমাকে ট্রেনে উঠিয়ে দিয়ে চলে গেলো বাবার কাছে। খুব মন খারাপ হলো আমার।আব্বু অই অবস্থায় কল দিয়ে বল্ল তুমি যাও আমি ঠিক আছি মা।ভরসা পেলাম একটু এবার। ট্রেন ছেড়ে দিল।একা এক কোনায় একটি কেবিনে বসে আছি। পাসে মায়ের সিট টা খালি।নিজেকে সব চেয়ে অসহায় মনে হচ্ছিল।অচেনা পথ অচেনা যায়গা অচেনা মানুষ চারপাশে। চলতি পথে হটাৎ চার জন ছেলে উঠল আমার কেবিনে। তারা ছিল স্টুডেন্ট ভার্সিটির। একটা কমপিটিশন এ জাচ্ছিল সিলেট এই।যেহেতু পাশের সিট টা ফাকা পড়ে আছে তাই ওদের একজন কে পাশে বসতে দিলাম সিট না পাওয়ায়।সেখান থেকেই পরিচয় চারজনের এর একজনের সাথে।কিন্তু ভাল লাগা ভালবাসা কিছুই হয়নি । হয়েছিল শুধু মাত্র পরিচয় টাই। আমাকে তারা শেষ গন্তব্য স্টেশন পর্যন্ত খেয়াল রেখেছে। চলে যাওয়ার আগে ফেসবুক আইডি টাই শুধু নিয়ে এসেছিলাম বাসায় পৌছে জানানোর জন্য। তার পর টুক টাক কথা শুরু আর একটু একটু ভাললাগা শুরু।সেখান থেকে ভালবাসায় পরিনত হলো।কিন্তু মাত্র ৪ মাসের সম্পর্কে হোলো।২ মাস হতেই বাসায় জেনে গেলো। আর বিয়ের জন্য প্রেসার।ভয় পেলাম হারাতে হবে নাকি তাকে কিন্তু এতটাই ভালবেসেছিল যে এক কথায় পরিবার কে রাজি করিয়ে আমাকেও জীবন এর সাথে জরিয়ে নিতে পিছপা হয়নি।মাত্র ৪ মাসের প্রেমের পর পারিবারিক ভাবে আমাদের বিয়ে হলো।আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তালা অনেক সুখে রেখেছে। বেকার ছেলেকে বিয়ে করেও অনেক ধর্য্য শক্তি নিয়ে লড়াই করে আজ বিয়ের ২.৫ বছর পার করছি। পরিবার এর সাপোর্ট আর আমদের ভালবাসা দিয়ে জীবন টা গুছিয়ে নিয়েছি।এখন সে চাকরি করে।আমাদের সংসার অনেক সুখের হয়েছে। পরিসেসে এটাই বলবো ভালবাসি তাকে অনেক বেশি প্রিয়