By - Lucky akter Sima

আমাদের দুজনের গল্পটা অন‍্যরকম।আমাদের বিয়েটা যদি ও প‍্রেমের বিয়ে না,কিন্তু প্রেমের বিয়ের চেয়ে কোন অংশে কম ও না।আমার H.S.C পরীক্ষার পর আমাকে দেখতে যায় মিজানের মামা,মিজানের মামার আমাকে দেখে খুব পছন্দ হয়,মিজানের মামা দেখে আসার পড়,মিজান আর মিজানের বন্ধু দুজন আমাদের বাড়িতে আসে আমাকে দেখার জন‍্য।আমাকে প্রথমবার দেখেই মিজান একদৃষ্টিতে আমারদিকে তাকিয়ে আছে,প্রথম দেখাতেই মিজান এর আমাকে ভালো লেগে যায়।মিজান বাসায় এসে বলে মেয়ে মিজানের পছন্দ হয়েছে,পরিবারের সবাই যেন আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়েকে দেখতে যায়,কিছুদিন পর মিজানের পরিবারের ১৫জন এরমত লোক আসে আমাকে দেখতে মিজানের বোন,ভাই,আর আত্মিয়-স্বজনরা সবাই দেখে যাওয়ার পর কোন কিছু জানানো হয়নি মেয়ের পক্ষকে মেয়েকে পছন্দ হয়েছে কিনা,এদিকে মেয়ের পরিবার থেকে বার বার জানতে চাচ্ছে মেয়ে পছন্দ হয়েছে কিনা হ‍্যা বা না যেন জানায়,এদিকে মিজান আমাকে দেখতে আসার সময় মিজানের ফোন নাম্বার আমাকে দিয়ে আসে,আর আমার ফোন নাম্বার নিয়ে আসে, আমাদের ফোনে প্রতিদিন তখন মিজান আমাকে ফোনে বলছে আমি তোমাকে ছারা কাওকে বিয়ে করব না কিন্তু আমার পরিবারের কেও এই বেয়েতে রাজি না তাদের আমাকে পছন্দ হয়নি,মিজানকে সবাই অনেক বুজানোর চেষ্টা করেছে,মিজানের এক কথা আমি যদি বিয়ে করি,এই মেয়েকেই করব আর তা না হলে আমি জীবনে বিয়েই করবো না,এদিকে আমার অন‍্য আরেকটা বিয়ের প্রস্তাব আসে তারা চুপিচুপি আমাকে দেখে তাদের সবার আমাকে পছন্দ হয়েছে,আমার বাবার ও এই বিয়ের প্রস্তাব এ রাজি ছিল ছেলে ভালো,দেখতে,শুনতে ব‍্যবসা করে,কিন্তু মিজানদের বাসা থেকে কোন উওর না দেওয়া পযর্ন্ত আমার বাবা ঐ পক্ষকে কিছু বলতে পাড়ছে না,এদিকে মিজান তার মামার মাধ্যমে আমার বাবাকে জানায় তাদের মেয়ে পছন্দ হয়েছে,মিজান সীমাকেই বিয়ে করবে আর এদিকে মিজানের উপড় দিয়ে অনেক ঝড় যাচ্ছে পরিবারের কেও রাজি না আমাকে দেখে আসার ৬মাস পর মিজান সবাইকে রাজী করায় তারপর পারিবারিক আনুষ্ঠানিককতার মাধ‍্যমে অবশেষে আমাদের মিলন হল,দেখতে আসার পর বিয়ে হওয়ার আগ মুহূর্তপর্যন্ত আমাদের দুজনে প্রতিদিন রাএে কথা হত ৩থেকে ৪ঘন্টা,এমন ও হয়েছে একদিন কথা বলতে বলতে কখন যে সকাল হয়ে গেছে দুজনের কেও বুজতে পাড়িনী,৬মাস চুটিয়ে প্রেম করেছি আমরা ফোনে কথা বলা দেখা করা।মিজান আমাকে বিয়ের পর একদিন বলছে তোমাকে পাওয়ার জন‍্য আমাকে যে লড়াই করতে হয়েছে,প্রেম করলে ও মনে হয় এত লড়াই কেও করে না,সেদিন আমি মিজানকে বলেছিলাম আমি কখনো তোমাকে,তোমার পরিবারকে কষ্ট দিবো না কেও যেন কখনো বলতে না পাড়ে মিজানের সীমাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল,আলহামদুল্লিল্লাহ মিজানের পরিবার,আত্মিয়স্বজন সবাই যখন আমার সামনেই আমার প্রশংসা করে তখন খুব ভালোলাগে।আমাদের বিবাহিত জীবন এর ১৫বছর চলে,আমি মিজানকে অনেক ভালোবাসি,মিজান ও আমাকে অনেক ভালোবাসে,মিজানের সততা,দ্বায়িত্বশীলতা,আমার প্রতি কেয়ারিং,আমাকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া,বিশেষ দিনে সারপ্রাইজ গিপ্ট দেওয়া আমাকে মুগ্ধ করে,আমি মিজানকে এতটা ভালোবাসি আমি তাকে ছারা ১টা মুহূর্ত ও ভাবতে পাড়ি না।আমার ভবিষ্যতে একটা ভিশন হলো আমি আমার ভালোবাসার মানুষ আমার প্রিয়তম স্বামীকে নিয়ে যেন দুজন একসাথে হজ্ব করতে পাড়ি,এটাই আমার একমাএ চাওয়া পরম -করুনাময় আল্লাহর কাছে,আল্লাহ্ যেন আমাদের সেই তৌফিক দেয়,আমিন।আমার ভালোবাসার মানুষটা ঠিক আমার মনেরমত।