By - Aysha Rahman Soha

আমাদের প্রেম হয়েছিলো একটু অন্যরকমভাবে। এক কাজিনের বিয়েতে আমাদের দেখা। দেখেই তার পছন্দ হলো আমাকে। আমার কাজিনের মাধ্যমে প্রপোজাল পাঠালো। বাট আমি এক্সেপ্ট করতে ভয় পাচ্ছিলাম কারণ আমার বাবা খুবই রাফ এন্ড টাফ পার্সন৷ সে এসব পছন্দ করে না৷ আমি প্রথমবার প্রপোজাল এক্সেপ্ট করি নি। বললাম- আব্বু জানলে প্রব্লেম আছে,সম্ভব না আমার দ্বারা প্রেম। শুনে ওর তো কি ভীষণ মন খারাপ! তার ঠিক ৬ মাস পর আমাদের আবার দেখা৷ ও তখন আমার সাথে ১০ মিনিট বসতে চাইলো।আমি অনিচ্ছাসত্ত্বেও বসলাম। তখন সে আমাকে বোঝালো- সব ভালোবাসাতেই বাঁধা আছে, থাকবে।আমরা দু'জন মিলে না হয় সেটা জয় করবো। আমি সময় চাইলাম। তার ঠিক ১ সপ্তাহ পর আমি এক্সেপ্ট করলাম ফাইনালি। ও তো সেদিন এত খুশী হলো৷ ওর সব ফ্রেন্ড দের মিষ্টি খাওয়ালো। আমার বাসায় পিজ্জ্বা, বার্গার পাঠালো৷ আমি তো ভয়েই শেষ। আব্বুকে কি বলবো! পরে আমার কাজিন এসে আমাকে উদ্ধার করলো,বললো- আমি এনেছি আঙ্কেল সবাই মিলে খাবার জন্য। এইতো! আমাদের সম্পর্ক শুরু হলো। ও প্রায়ই আমাদের বাসার নিচে আসতো। আমি বারান্দায় চা খেতে খেতে কানে ইয়ারফোন দিয়ে ওর সাথে কথা বলতাম,ইশারা করতাম। মাঝেমাঝে নিজ হাতে বানানো কেক ওকে বারান্দা দিয়ে দড়ি বেঁধে ট্রান্সফার করতাম৷ কখনো কখনো এমনো হইছে,ও বাসার নিচে এসে বললো- খিদে লাগছে! তখন আমি কাগজে আপেল বা কমলা মুড়িয়ে ওকে ছুঁড়ে মারতাম।ও সেটা ক্যাচ ধরতো৷ প্রতিবছর ১৪ ফেব্রুয়ারিতে এসে আমাকে লুকিয়ে ফুল,চকলেট দিয়ে যায়। এবারো দিয়েছে, ডায়েরি,চকলেট,স্যুপ,কর্নফ্লাওয়ার,কলম। ( স্যুপ পছন্দ করি বলেছিলাম একবার,সেজন্য গিফটের সাথে এটাও এড করে দিয়েছে) এইতো চলছে আমাদের লুকোচুরি প্রেমের গল্প৷ অনার্স শেষ হলে বাসায় জানাবো আমার৷ যদিও আম্মু,ছোট ভাই রাজি। জাস্ট আব্বুই বাকি৷ ইনশাআল্লাহ্ আব্বুও রাজি হবে৷ ওর পরিবারের সবাই অলরেডি রাজি৷ আপাতত আমাদের ভিশন হচ্ছে "আমার আব্বুকে রাজি করানো", "আমাদের প্রিয় রাস্তা ধরে ভোর সকালে হাঁটা" আর একটা বিশাল ভিশন জানিনা সেটা পূরণ হবে কিনা সেটা হচ্ছে "America" যাওয়া। সেখানের রাত্রি এনজয় করা দুজন। ভিশন ভাবতে বা চেষ্টা করতে তো দোষের কিছু নেই। আপাতত এগুলাই ভিশন।