আমাদের ভালোবাসার প্রায় ১৫টি বছর কেটে গেল। আমি, সুমনা আক্তার সুমা আর আমার ভালোবাসার মানুষ, মোঃ আবদুল্লাহ-আল-মামুন। সেই ২০০৭ এর ৬ এপ্রিল পারিবারিকভাবে দুজনে ভালবাসার মিশন ও ভিশনে একত্রিত হয়েছি আজও সকলের দোয়া ও ভালবাসায় অটুট ও মজবুত বন্ধন দৃঢ় ও শক্তিশালী রেখেছি। কত-শত জরাজীর্ণ, অভাব-অনটন, পাওয়া-না পাওয়ার বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে শারীরিক ও মানসিকভাবে কষ্ট পেয়েছি কিন্তু ভালবাসার ছোঁয়ায় কোনো কমতি ছিল না। আমরা নিঃসন্তান দম্পতি। পরিবারের-সমাজের নানান লোকের নানান কটুকথায় কর্ণদুটি পঁচে গেছে। বুকে পাথর চাপা দিয়ে রেখেছি। ডাঃ দেখিয়েছি, স্বামীর সমস্যা। পরিবারের- সমাজের কত নোংরা মনের মানুষ কত-শত কুৎসা প্রস্তাব দিত, স্বামী কে ছেড়ে চলে আসতে বলতো। আসলে নারীর জীবন খুবই কষ্টের। নারী মানে মায়া, নারী মানে মমতা। তাই তো আমি আমার ভালবাসার মানুষের মায়া-মমতা-ভালবাসার শিকলে বাঁধা পড়ে আছি। ছিঁড়তে চাই না এ বন্ধন। নারী সর্বংসহা। নারী মানে বিজয়ী। সৃষ্টিকর্তা চাইলে অসম্ভব বলে কিছু নেই। আমাদের দুজন-দুজনার ভালবাসার কোন কমতি নেই। আমরা সুখে আছি,বেশ আছি। মোটা ভাত-কাপড়ে। কোন লালসার মায়া জালে কখনও আত্মসমর্পণ করবো না। আমাদের ভালবাসার ভিশন সুখে-দুঃখে পাশে থাকা। একটি পালক ছেলে নিয়েছি-মুসফিক, ভালবাসার আরও একজন। ছেলেটার ৬ বছর পূর্ণ হলো। অটিস্টিক ছেলেটা কথা বলতে পারে না, কয়েকটি শব্দ বলে কিন্তু সবকিছু বুঝতে পারে, অর্ডার দিলে কাজ করতেও পারে। কিছুটা কষ্ট হয়, হোক, সমস্যা নেই -এ নিয়েই তো জীবন। আমাদের ভালোবাসা চলছে, চলবে, চলুক-সকলের দোয়া চাই। ধন্যবাদ।